প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে "নাসা হাবল ফেলোশিপ" অর্জন করেছেন গবেষক আনোয়ার সজীব


জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানে অসামান্য অবদানের জন্য নাসা সবচেয়ে সম্মানজনক “নাসা হাবল ফেলোশিপ প্রোগ্রাম” এর  মধ্যমে পোস্টডক্টোরাল গবেষকদের জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানের যে কোন ক্ষেত্রে স্বাধীন গবেষণার সুযোগ দেয়।


সেই সুবাদে এ বছর নাসা ৪০০ আবেদনকারীর মধ্যে থেকে মাত্র  ২৪ জন বিজ্ঞানীকে এ সম্মানজনক ফেলোশিপ প্রদান করে।আর এর স্বীকৃতি স্বরুপ তারা ৩ বছর সকল প্রকার সাপোর্ট (অর্থ,ল্যাব,অবজারভেটরী,হাবল ডাটা,অন্যান্য ডাটা আর্কাইভ) সহ তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী গবেষণার সুযোগ পাবেন। ফেলোশিপধারীদের  ৩টি প্রশ্ন অনুযায়ী ৩ ক্যাটাগরীতে ভাগ করা হয়।

১। আমাদের মহাবিশ্ব কিভাবে কাজ করে ? - আইন্সটাইন ফে…

২। আমরা কিভাবে আজ এত আবদি এলাম ? - হাবল ফেলো।

৩। আমরা কি একা ? - সাগান ফেলো।

সুখবর হলো এবছর একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন আনোয়ার জামান সজীব।আনোয়ার জামান সজীবের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বেড়িগাঁও গ্রামে।তার মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শেষ হয় বাংলাদেশেই।সিলেটের ব্লু বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রাথমিক এবং ক্যাডেট কলেজে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষায় নবম স্থান অধিকার করে তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হন।এরপর জাপান সরকারের স্কলারশীপ নিয়ে পাড়ি জমান স্নাতক পড়ার জন্য।২০১৪ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ টোকিও থেকে পদার্থবিজ্ঞানে ব্যাচেলর ডিগ্রী লাভ করেন।এরপর তিনি ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে অ্যাস্ট্রোনমি এবং অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে মাস্টার্স এবং.২০২০ সালে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।এখন্ তিনি ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগোতে পোস্টডক্টোরাল স্কলার হিসেবে কাজ করছেন।

তিনি মূলত অবজারভেশনাল কসমলোজি এবং গ্যালাক্সির শক্তিশালী স্কেল লেন্সিং ব্যাবহার করে উপবৃত্তাকার গ্যালাক্সির বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করেন। H0 Lenses in COSMOGRAIL's Wellspring (H0LiCOW) এর সদস্য হিসেবে এবং STRong-lensing Insights into the Dark Energy Survey (STRIDES) কোলাবরেশনে তিনি গ্যালাক্সির স্ট্রং গ্র্যাভিটেশনাল ল্যান্সিং এর সময় বিলম্ব (Time delays) ব্যবহার করে হাবল ধ্রুবক পরিমাপে কাজ করেন।তিনি গ্র্যাভিটেশনাল ল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে কিছু পুরাতন পদ্ধতির উন্নতি সাধন করেন এবং স্ট্রং লেন্স মডেলিং এর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরী করেন এবং হাবল ধ্রুবক পরিমাপে বর্তমান ডাটার উপর সেই পদ্ধতি প্রয়োগও করেন।

আইন্সটাইন ফেলো হিসেবে তার গবেষণার প্রপোজাল টাইটেল হলো “Internal Structure of Massive 
Elliptical Galaxies: The Missing Piece at the Intersection of Astrophysics and Cosmology”
তিনি শক্তিশালী লেন্সগুলির খুব বড় নমুনাগুলি দক্ষতার সাথে মডেল করতে একটি স্বয়ংক্রিয় পাইপলাইন 

তৈরী করবেন যেগুলি ভবিষ্যতে Vera Rubin Observatory এবং Nancy Grace Roman Space Telescope দিয়ে আবিষ্কার করা হবে। “State-of-the-art” পাইপলাইন ব্যবহার করে তিনি প্রাপ্ত ডাটা থেকে বিশাল পরিমাণ গ্যালাক্সির শক্তিশালী স্কেল লেন্সিং এর স্যাম্পল বিশ্লেষণ করে উপবৃত্তাকার গ্যালাক্সির বিবর্তনের নতুন সীমাবদ্ধতা নির্ণয় করবেন এবং স্ট্রং লেন্সিং ব্যবহার করে হাবল ধ্রুবক পরিমাপের পদ্ধতির ভবিষ্যত উন্নতি সাধন করবেন।এছাড়া তিনি ডার্ক ম্যাটার নিয়েও গবেষণা করবেন।

তাছাড়া ওপার বাংলার(কলকাতার) আরেক বাঙালি কিশালায় দে ও এ ফেলোশিপ এ সুযোগ পান এবং তিনি infrared time-domain surveys এর ডাটা থেকে গ্যালাক্সিতে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ব্ল্যাকহোল এবং নিউট্রনস্টার খুঁজে বের করবেন এবং এদের নিয়ে গবেষণা করবেন।  

Cosmophysics-Bangladesh

Hi,i am an astronomy enthusiast and a student of Astrophysics.In this site,you can find articles about Physics,Astronomy,Astrophysics and Cosmology in bangla.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন